সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ইলেক্টনিক্স ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় নীলফামারীতে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুন) জেলা সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে ইলেক্টনিক্স ডিভাইস ও মুঠোফোন ব্যবহার করার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে জেলার সৈয়দপুরের পাঁচ কেন্দ্রে ৮ জন ও নীলফামারীর সদরের পাঁচ কেন্দ্র থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের এ লিখিত পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। জেলার ছয় উপজেলার পরীক্ষার্থীদের জন্য জেলা সদর ও সৈয়দপুরে কেন্দ্র করা হয়।
আটক ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন- নীলফামারী সদরের সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ১ জন, ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ২ জন, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১ জন এবং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন।
তারা হলেন- জেলা সদরের পাটোয়ারীপাড়ার সুকুমার রায়ের স্ত্রী অপু রাণী রায়, একই উপজেলার সুন্দর গোড়গ্রামের সোহাবুল জাহানের স্ত্রী জেসমিন নাহার, ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের হামিদুর রহমানের মেয়ে সেলিনা আক্তার, শরিফুজ্জামান সবুজের স্ত্রী মারিয়া হোসেন লিপু, ডালিয়া এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রী নাজমা আক্তার এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর গ্রামের আবু হোসেনের মেয়ে শরিফা আক্তার।
এছাড়া সৈয়দপুরের ক্যান্টপাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ৪ জন, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ১ জন, সৈয়দপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্র থেকে ১ জন, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জন ও সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের আরেফুজ্জামানের স্ত্রী লাভলী আক্তার, বালাপাড়া এলাকার প্রমাদ চন্দ্র রায়ের মেয়ে পলি রায়, আকাশকুড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদের মেয়ে তাহিরা পারভীন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুশা গ্রামের সুমনের স্ত্রী উম্মে হাবিবা, বাজে ডুমুরিয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মিজান আহমেদ, ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের আবুজার রহমানের ছেলে নাউতরা ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত সিদ্দিক শাসন, নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের আতিয়ার রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন এবং দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আরিফা নাজনীন।
নীলফামারী সদর থানার ওসি বাবুল আকতার ও সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply