(আজকের দিনকাল):প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং চীনের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করছে ভারত। আন্তর্জাতিক এ বৈঠককে ঘিরে উপত্যকাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সূচি অনুযায়ী আগামী ২২ থেকে ২৪ মে জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া জি-২০ যুব সম্মেলনের স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশের লাদাখ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লেহ-কে।
এদিকে এই সম্মেলনকে ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে হাইঅ্যালার্ট।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরতে ও প্রচার করতে জি২০-র বৈঠকের সময় বা তার আগে হামলা চালাতে পারে।
সূত্র মতে, উচ্চপ্রযুক্তি (ওয়াইএসএমএস) ব্যবহার করে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে শ্রীনগরে ২৬/১১-এর মতো হামলার পরিকল্পনা কষছে লস্কর-ই তৈয়্যবা। এ অবস্থায় রাজৌরি এবং পুঞ্চে উচ্চ-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
নিরাপত্তা সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈয়্যবার জঙ্গিরা শ্রীনগরে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টর দিয়ে জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টাও করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ কারণে শ্রীনগরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকার পুলিশপ্রধান বিজয় কুমার রয়টার্সকে বলেছেন, শ্রীনগরে কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে; সন্ত্রাসবাদবিরোধী কর্মকর্তারাও বিভিন্ন এলাকায় থাকবে।
বুধবার দেশটির সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সামরিকবাহিনী পরিচালিত জম্মুর একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীদের জিম্মি করতে পারে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে।
এ কারণে এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অপাতত বন্ধ রেখে জি২০ বৈঠক পর্যন্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ অনলাইনে নিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওয়াইএসএমএস প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ডেটা বা কোনো টেলিকম অপারেটর ছাড়া অত্যন্ত উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি এনক্রিপ্ট করা বার্তাগুলোর কোনো ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট না থাকায় সন্ত্রাসীদের শনাক্তকরণে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তাদের মতে, সন্ত্রাসীরা ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যা এর আগে ২০১৬ এবং ২০১৯ সালের মারাত্মক হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এছাড়া সিম কার্ড ছাড়া সন্ত্রাসীরা কীভাবে ফোন ব্যবহার করে সে বিষয়েও কর্মকর্তারা কথা বলেন।
সূত্র: রয়টার্স ও নিউজ এইট্টিন
Leave a Reply