(আজকের দিনকাল):গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন জমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। রাস্তাঘাট, প্রার্থীদের নির্বাচনি অফিস, চায়ের দোকান সর্বত্রই ঝড় তুলছে নির্বাচনি আলোচনা।
সাবেক পূবাইল ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডটিতে তিনজন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন। তারা হচ্ছেন—দুবারের কাউন্সিলর বর্ষীয়ান নেতা আজিজুর রহমান শিরিষ, সদ্য বহিষ্কার হওয়া পূবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নজরুল ইসলাম খান বিকি ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোস্তফা কামাল। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন টানা তৃতীয়বারের মতো লড়ছেন। মূলত রাজনীতির মাঠে প্রবীণ শিরিষ ও বয়সে নবীন বিকির মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটারেরা। তবে নতুন প্রার্থী মোস্তফাও প্রচারে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারাজীবন বিএনপির রাজনীতি করে আসা নজরুল ইসলাম খান বিকি ঘুড়ি মার্কা পেয়ে জনসংযোগে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ লাঠিম প্রতীক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোস্তফা কামাল ঠেলাগাড়ি মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৮ টি গ্রামের ১৫ হাজার ভোটারের প্রায় সমানসংখ্যক পুরুষ ও নারী ৫ টি কেন্দ্রে আগামী ৫ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন ২৫ মে। প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটারেরা।
এলাকাভিত্তিক ভোটের অংক কষে যার যার প্রার্থীকে আলোচনায় এগিয়ে রাখছেন সমর্থকেরা। প্রার্থীদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রায়ই অভিন্ন। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ল্যাম্পপোস্ট, মাদক নির্মূল, স্থানীয় আদালতে সঠিক বিচারের আশ্বাস, পরিচ্ছন্ন শহর নির্মাণ, মশকনিধনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
৪০ নং ওয়ার্ডসহ পূবাইলের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও চুরি বেড়ে যাওয়ায় প্রার্থীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে এলাকাবাসীকে সংঘবদ্ধ করে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
ভোটাররা বলছেন, সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৪০ নং ওয়ার্ডে প্রতিবারই কাউন্সিলর পদে আজিজুর রহমান শিরিষ বিজয়ী হয়েছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের প্রত্যাশিত ও আকাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন এখনও হয়নি এই ওয়ার্ডে। করোনার হানা ও দু’দুবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সিটির দায়িত্বে আসায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিরিষ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি বলে তাদের মত। এ কারণে নবীন নেতৃত্ব ও নতুন মুখের কথা বলছেন নজরুল খান বিকির সমর্থকরা।
তবে আজিজুর রহমান শিরিষের অনুসারীরা বলছেন, উন্নয়নে শিরিষের বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হবেন।
জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ঠেলাগাড়ি মার্কার প্রার্থী মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন নেতৃত্বে জনগণ আশাবাদী। তাই ২৫ তারিখের নির্বাচনে ঠেলাগাড়ি মার্কার বিকল্প নাই।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নজরুল খান বিকি বলেন, ঘুড়ি মার্কা পেয়ে প্রচার করতে গিয়ে পদে পদে প্রতিপক্ষের বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। স্থানীয় থানায় ও গাজীপুর রিটার্নিং অফিসার বরাবর এসব বিষয়ে অভিযোগ করেছি। তিনি বলেন, ।নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ।
সাবেক পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৪০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ বলেন, পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন ও সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে আমার ৪০নং ওয়ার্ডে। তাই এবারও দেশের স্বার্থে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রামকে শহর নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আমাকে লাঠিম মার্কায় ভোট দিতে জনগণ ভুল করবা
না।
Leave a Reply