আজ ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

(আজকের দিনকাল):পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে দুপুরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, আধিপত্য নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পাবনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল প্রান্ত এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী মো. সাব্বিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সভাপতির অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের গায়ে হাত তোলে।

এ নিয়ে দু’গ্রপের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলতে থাকে। এর জেরে পরীক্ষা শেষ হলে দুপুর পৌনে ২টার দিকে দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

দু’গ্রুপই সংঘর্ষে লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিস্টিকসহ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রলীগের দু’গ্রপের মধ্যে মোটরসাইকেলের ধাক্কাধাক্কি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ ঘটনায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় যদি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সাধারণ শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বলেন, পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপিং নেই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে সব কাজ করে আসছি। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আমরা জয় বাংলা বাইক সার্ভিস চালু করেছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলে কাউকে রেখে আসাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ছত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিকালে পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, পুলিশের অভিযানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ