আজ ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজকের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবে: শিক্ষামন্ত্রী

(আজকের দিনকাল):শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। আজকের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবে। শিক্ষার্থীরা যদি স্মার্ট নাগরিক হিসেবে তৈরি না হয়, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের দায়িত্ব কে নেবে? এ বাংলার আবহমান কালের ঐতিহ্য লালন করতে হবে।

রোববার বিকালে নেত্রকোনার ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আপনাদের হাতে তৈরি হবে দেশের ভবিষ্যৎ। আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেমন বাংলাদেশ আপনারা চান? আপনারা যদি স্মার্ট বাংলাদেশ চান, শান্তি শৃঙ্খলার বাংলাদেশ চান, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ চান, উন্নত বাংলাদেশ চান তাহলে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের লোকজন, রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এর ডিজাইন পরিবর্তন করা যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীরের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার শুভ্র চন্দন মহলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, অসীম কুমার উকিল এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অসীত সরকার সজল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান লিটন প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপননীতি পাশ হয়। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠার পর পরই একনেকে ২ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। শহরের রাজুর বাজার এলাকায় টিটিসির একটি তিনতলা ভবনে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।২০০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি ও পরের বছর থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এই চারটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়।

রাজুর বাজার এলাকায় ৪৯৮ দশমিক ৪৫ একর জায়গায় স্থাপিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে প্রধানমন্ত্রীর নামে দেশে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরেও এখনো গড়ে ওঠেনি নিজস্ব ক্যাম্পাস, একাডেমিকসহ কোনো ভবন বা অবকাঠামো। এত দিনেও একজন অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ দিতে পারেনি। অথচ এখানে চার বছর ধরে ভর্তি হয়ে আছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা পর্যাপ্ত শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ, ক্যাম্পাস, গ্রন্থাগার, আবাসনসহ নানা সংকট ও অব্যবস্থাপনার মধ্যেই শিক্ষাজীবন পাড়ি দিতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে রেজিস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটিও শূন্য। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৫৬ জন। তাদের মধ্যে অনেককেই অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে স্থায়ী করে নেওয়া হয়।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ