আজ ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিরাজগঞ্জে ৩১৫ চরমপন্থির আত্মসমর্পণ

(আজকের দিনকাল):অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার ৩১৫ জন চরমপন্থি ২১৯টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের র‌্যাব-১২ কার্যালয় চত্বরে র‌্যাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে তারা অস্ত্র সমর্পণ করেন।

আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সংগঠনগুলো হলো- পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল (লাল পতাকা), পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (এমবিআরএম) ও পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (জনযুদ্ধ)।

এক সময় এই সাত জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের কাছে চরম আতঙ্কের নাম ছিল চরমপন্থা। প্রায় প্রতিদিনই চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতো এসব এলাকায়।

র‌্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন চরমপন্থি দলের সদস্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। তারা এখন বিভিন্ন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। আজ সাত জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থি আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তারা সুস্থ ও সুন্দর জীবন শুরু করবেন।

তিনি বলেন- পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা আর আগের মতো নেই। তারা বর্তমানে জলদস্যু, বনদস্যু, চরমপন্থি, জঙ্গিবাদ, মাদক সন্ত্রাসীদের দমন করতে সক্ষম। যে কোনো ধরণের নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে র‌্যাব সোচ্চার। এই অনুষ্ঠানে যে সব চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদে এমপি, স্থানীয় এমপি তানভীর ইমাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, র্যাব-১২’র অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সংগঠনগুলোর সদস্য রাজবাড়ীর ফারুক সেখ, টাঙ্গাইলের সাইদুল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের শাজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার।

এ সময় অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, মেরিনা জাহান কবিতা এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ