আজ ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাজীপুরে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা

(আজকের দিনকাল):গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের আর বাকি দুই দিন। এরই মধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। নগরীর প্রতিটি অলিগলি ছেয়ে গেছে পোস্টার আর ব্যানারে। নির্বাচনি আলাপে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে গলির প্রতিটি চায়ের দোকানে। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ অন্য দলের প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পাশাপাশি, স্বতন্ত্র মেয়র পদে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন এবং বিএনপি দলীয় প্রার্থী না দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছদ্মাবরণে মাঠে রয়েছে বিএনপি পরিবারের সদস্য সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। বিএনপিমনা ও টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী সরকার পরিবারের সন্তান হওয়ায় তার প্রতি এলাকার সাধারণ মানুষের সহানুভূতি রয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান সোমবার সকালে নিজ বাস ভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনি আলাপ-আলোচনা করেন। পরে তিনি টঙ্গী বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর তিনি গণসংযোগের জন্য গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

এদিকে সোমবার সকালে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় গণসংযোগ চালিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। এছাড়া টঙ্গীর গাজীবাড়ি, মধুমিতা, বউবাজার ও টঙ্গী বাজারে গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন।

গণসংযোগকালে তিনি বলেন, আমি আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখতে চাচ্ছি। আমি মনে করি গাজীপুরে নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বর্তমানে সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গাজীপুরের বেশকিছু ওয়ার্ডে পুলিশ আমার এজেন্টদের খোঁজখবর নিচ্ছে। পুলিশ সাধারণ এজেন্টদের কাছে গেলে স্বভাবতই তারা ভয় পায়। তাই পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানির ভয়ে হাতি প্রতীকের এজেন্ট কেউ হতে চাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৫ মে পর্যন্ত যদি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে পারে এবং ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পারে তাহলে আমার বিশ্বাস আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।

তিনি বলেন, যেখানে সরকারের প্রতি নির্বাচন কমিশন আস্থা রাখতে পারছে না এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি সরকার আস্থা রাখতে পারছে না- এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে? যদি ভোটের দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে এবং ২৫ তারিখ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচন কমিশন যদি ভোটের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তাহলে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ