(আজকের দিনকাল):ফেসবুক লাইভে এসেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সোমবার রাতে নগরীর নিজবাসভবনে লাইভে তিনি বলেন, তার আন্দোলন একজন মুখোশধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সেই ‘মুখোশধারীর’ নাম উল্লেখ না করে জাহাঙ্গীর বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে নয়, আমার প্রিয় পার্টির বিরুদ্ধে নয়, আমার আন্দোলন হলো একজন মুখোশধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ব্যক্তি ভোট দখলের চেষ্টা করছেন। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, তাকে না বলে, গাজীপুরের কাউকে জিজ্ঞেস না করে মন্ত্রণালয় থেকে তাকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার আগে কোথাও ৪০ ফুট সড়ক ছিল না। তার মা জায়েদা বেগম সাহস জোগানোয় উন্নয়ন কাজ করতে পেরেছেন।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোট চাচ্ছে। বলা হচ্ছে তিনি (জাহাঙ্গীর) সাতশ কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন। অনেক পত্রিকা ও টেলিভিশনকে তার মায়ের ভোটের খবর প্রচার না করার জন্য বলা হয়েছে। তিনি সব ভোটারের প্রতি তার মায়ের প্রতীক টেবিল ঘড়িতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ থেকে দ্বিতীয় দফা বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর বলেন, দেশি-বিদেশিরা এ নির্বাচন দেখবেন, এ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
তার বরখাস্তের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, গাজীপুরের কোনো মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ না দেওয়ার পরও জেলার বাইরের একজন মানুষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিঠি দেওয়ার পর আমাকে মেয়র পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। যত কৌশল আছে সবগুলো অবলম্বন করা হয়। পরে আমি এক মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওপরের নির্দেশে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বলেছিলাম আমার দোষ কী? মন্ত্রী বলেছেন, কোনো অপরাধ নেই, দোষও নেই। একটা ইশারায় বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সিটি মেয়রকে ঢাকার ইশারায় বা কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে যদি (মেয়রের পদ) মন্ত্রণালয় থেকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে সিটির ১২ লাখ ভোটারের দাম কী? তাদের ভোটের মূল্যায়ন কীভাবে হবে?
তাকে বাদ দেওয়ার সিটির কাজ থেমে গেছে দাবি করে জাহাঙ্গীর বলেন, এ অবস্থায় মা প্রার্থী হয়ে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে গাজীপুরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। শহরকে রক্ষার জন্য এবং সুন্দর সিটি গড়ার জন্য আপনারা আমার মা জায়েদা খাতুনের পাশে দাঁড়ান। ঘড়ি মার্কায় ভোট দিন। আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর শহর উপহার দেবো। যে শহরে সব ধরনের মানুষ নিরাপদে থাকবে।
Leave a Reply