আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছি : ওবায়দুল কাদের

(আজকের দিনকাল):সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে এবং তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আজ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষতি করতে চাইছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে তিনি রোববার এসব কথা বলেন। বৈশ্বিক সংকটে বিভিন্ন দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভালো থাকেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে, এটা বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ। সে কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটু কথা বলে। বিরূপ সমালোচনা করে। এ মহলটি অতীতে বাংলাদেশ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মেরামত করছেন। এটা তাদের পছন্দ হয় না। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেন না। তাকিয়ে থাকেন বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে। নিষেধাজ্ঞা, নিষেধাজ্ঞা বলে চাতকের মতো অপেক্ষা করেন। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো। শেখ হাসিনা চলে গেল। এ কটু কথা কত যে শুনলাম। অবশেষে কি নিষেধাজ্ঞা এলো? ভিসানীতি। এতে সরকারের কিছুই হলো না। ভিসানীতি নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা হওয়ার কারণ নেই। কোনো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, শত্রু নেই। বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কোনো প্রভু ছিল না, শেখ হাসিনারও নেই। সহযোগিতা করার মতো বন্ধু আমাদের আছে। একাত্তরে বন্ধু দরকার ছিল, সে বন্ধু আমরা পেয়েছি। যারা শত্রুতা করার তারা করেছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারেনি। বিএনপি ভিসানীতি নিয়ে নাটক সাজাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ভিসানীতিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য কেউ যেন বাধা না দিতে পারে সেজন্য।

গাজীপুরের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে আমরা হেরে গেছি, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা নষ্ট, অসুস্থ রাজনীতি করে। এ অপশক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, কোনোদিনই নিরাপদ নয়। এদের হাতে বাংলাদেশকে আমরা তুলে দিতে পারি না। এরা আসবে মানে গণতন্ত্র শেষ। এরা আসবে মানে আবার ভোট চুরি। এরা আসবে মানে আবার হাওয়া ভবন। এরা আসবে, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে আবার চ্যাম্পিয়ন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের চীন এবং আসন্ন ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট। এসব বৈঠকে অনেক কিছু আলোচনা হতে পারে। রাজনীতি নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্নভাবে মতবিনিয়ম হতে পারে। পিপল টু পিপল কন্টাক্টকে সুদৃঢ় করার জন্য এ পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ