(আজকের দিনকাল):বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পরাজিত হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগকে কে চালায়। আওয়ামী মার্কা কিছু পুলিশ, কিছু প্রশাসনের কর্মকর্তা, কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগকে চালায় বলেই আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে গেছে। বিএনপি এখন রাজনৈতিভাবে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। আওয়ামী লীগের পরাজয় এখন সুনিশ্চিত।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে রোববার বিকালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। এরা একটি রেজিম তৈরি করেছে। বাংলাদেশের জনগণ তার ভোটাধিকার, মানবাধিকার, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে নেমেছেন। এ আন্দোলন বিএনপির একার আন্দোলন নয়, বাংলাদেশের সবার আন্দোলন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বিকালে ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুর আগে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুনসহকারে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগদান করেন। এ সময় দশ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
সমাবেশ স্থলের বাইরে মাসকান্দা থেকে চরপাড়া মোড় পর্যন্ত লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, পাকিস্তান আমলে শান্তি কমিটি ছিল, এখন শান্তি সমাবেশের নামে শান্তি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে। এরা হলো পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া নেতার লোক আর আমাদের লোকজন রণাঙ্গনের লোক। ভয়ের কিছু নেই। আওয়ামী লীগ নির্লজ্জের দল। যারা এখনো বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করেন সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান, নইলে জনগণের স্যাংশন থেকে রক্ষা পাবেন না।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, মোতাহার হোসেন তালুকদার ও আলমগীর মাহমুদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন ও শরিফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, পাগলা থানা বিএনপির আহবায়ক ডা. মোফাখারুল ইসলাম রানা, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নূরুল কবীর শাহীন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমুখ।
এ সময় নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, অ্যাডভোকেট এমএ হান্নান খান, একেএম মাহবুবুল আলম, শামীম আজাদ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, হাফেজ আজিজুল হক, যুবদলের দক্ষিণ জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম রাজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি জোবায়েদ হোসেন শাকিল, ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান রানা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply