আজ ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গুলিবিদ্ধ হওয়ার তিন মাস পর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু

(আজকের দিনকাল):নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হারুনুর রশিদ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। শোক জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ও নরসিংদীর সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

এর আগে গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি ভোরে হারুনুর রশিদ খানের বাড়ির ড্রইং রুমে ঢুকে মুখোশধারী তিন সন্ত্রাসী পেছন থেকে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি করে। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুস্থ হওয়ার পর তিনি ভারতে চিকিৎসা নেন। ভারত থেকে ফেরার পর তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সর্বশেষ তিনি কোমায় চলে যান। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে হারুনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিবপুর কলেজ গেট এলাকায় দোকানপাট, শ্রমিক লীগের সমিতিসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তার সমর্থকরা। অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ গ্রুপের সঙ্গে হারুনের সমর্থকদের শিবপুর কলেজ গেট এলাকায় ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় শিবপুর আসনের এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের তোরণ ভাঙচুর করা হয়। আসাদ স্থানীয় এমপি মোহনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

হারুনের ভাতিজা ফজলে রাব্বি খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাচার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাই। এরপর দেশে ফিরে আসি চলতি মাসের ২ তারিখে। দেশে ফিরে এসে সারাক্ষণ চাচা শুধু এসব নিয়েই ভাবতেন। পুলিশ কেন আসামিদের ধরছে না, বারবার তা জানতে চাইতেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশিদ খানের মরদেহ এখনো এভার কেয়ার হাসপাতালেই রয়েছে। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্তের পর মরদেহ শিবপুরে নেওয়া হবে। আগামীকাল বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ