-
- জাতীয়
- নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকরা আমানত রাখলে অর্থের উৎস জানাতে হবে। একই সঙ্গে জমা অর্থ গ্রাহকের পেশা থেকে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোনো বেনামি বা সংখ্যা দিয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলা যাবে না। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিএফআইইউ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এসব নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনাগুলো নীতিমালা আকারে এতে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ওই নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্যও জারি করা হয়েছিল। এতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেনামে, ছদ্মনামে বা কেবল সংখ্যাযুক্ত কোনো গ্রাহকের হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলেশনের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানের কোনো হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না। কোনো গ্রাহক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখলে সে অর্থের উৎস জানাতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকের পেশার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শেয়ার থাকলেই ওই হিসাবকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিস্ট হিসাব বলে ধরে নিতে হবে। হিসাবের সুবিধাভোগী কে তা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে হবে। ব্যক্তি হিসাবের ক্ষেত্রে অর্থের জোগানদান হিসাবধারী ছাড়া অন্য কেউ হলে অর্থের জোগানদাতার কেওয়াইসি বা গ্রাহকের সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়, গ্রাহকের পেশার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। গ্রাহকের পেশা, এলাকার সঙ্গে মিল রেখে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকির মাত্রা নিরূপণ করতে হবে। গ্রাহক উচ্চঝুঁকির হলে নিয়মিতভাবে তদারকি করতে হবে। প্রতিটি শাখায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত ব্যবস্থা থাকতে হবে। কোনো শাখার প্রাপ্ত স্কোর ৪০-এর নিচে হলে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ওই শাখার মান অসন্তোষজনক ধরতে হবে। ৪০-এর বেশি থেকে ৫৫ হলে প্রান্তিক পর্যায়ের, ৫৫-এর বেশি থেকে ৭০ হলে মোটামুটি ভালো, ৭০-এর বেশি থেকে ৯০ হলে সন্তোষজনক ও ১০-এর বেশি থেকে ১০০ স্কোর হলে ওই শাখা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে গণ্য হবে।
- আপডেট টাইম : মে, ৩১, ২০২৩, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
- 37 বার
(আজকের দিনকাল):নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকরা আমানত রাখলে অর্থের উৎস জানাতে হবে। একই সঙ্গে জমা অর্থ গ্রাহকের পেশা থেকে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোনো বেনামি বা সংখ্যা দিয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলা যাবে না। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিএফআইইউ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এসব নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনাগুলো নীতিমালা আকারে এতে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ওই নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্যও জারি করা হয়েছিল।
এতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেনামে, ছদ্মনামে বা কেবল সংখ্যাযুক্ত কোনো গ্রাহকের হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলেশনের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানের কোনো হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না।
কোনো গ্রাহক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখলে সে অর্থের উৎস জানাতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকের পেশার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শেয়ার থাকলেই ওই হিসাবকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিস্ট হিসাব বলে ধরে নিতে হবে।
হিসাবের সুবিধাভোগী কে তা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে হবে। ব্যক্তি হিসাবের ক্ষেত্রে অর্থের জোগানদান হিসাবধারী ছাড়া অন্য কেউ হলে অর্থের জোগানদাতার কেওয়াইসি বা গ্রাহকের সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, গ্রাহকের পেশার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। গ্রাহকের পেশা, এলাকার সঙ্গে মিল রেখে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকির মাত্রা নিরূপণ করতে হবে। গ্রাহক উচ্চঝুঁকির হলে নিয়মিতভাবে তদারকি করতে হবে।
প্রতিটি শাখায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত ব্যবস্থা থাকতে হবে। কোনো শাখার প্রাপ্ত স্কোর ৪০-এর নিচে হলে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ওই শাখার মান অসন্তোষজনক ধরতে হবে। ৪০-এর বেশি থেকে ৫৫ হলে প্রান্তিক পর্যায়ের, ৫৫-এর বেশি থেকে ৭০ হলে মোটামুটি ভালো, ৭০-এর বেশি থেকে ৯০ হলে সন্তোষজনক ও ১০-এর বেশি থেকে ১০০ স্কোর হলে ওই শাখা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে গণ্য হবে।
এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Leave a Reply