(আজকের দিনকাল):দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সরকার কোনো সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত অনিবন্ধিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। তাই কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে ডেকে পাঠালেন. তখন আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা ছিলে।’ এটাই শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের ভাইয়ের মতো মনে করেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করেন দেশের সম্পদ। কারণ, তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারা আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে চলে গেছেন। অনেকেই বিদায় নেব এ পৃথিবী থেকে। কিন্তু আমরা যত দিন থাকব, তত দিন মাথা উঁচু করে বলব, বাংলাদেশে কোনো অন্যায় হতে দেব না। কোনো অবিচার হতে দেব না, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেব না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ১৫ আগস্ট যে ষড়যন্ত্র আমরা দেখেছি, আজও সেই ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বাইরে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিভিন্ন্ন দলের মানুষ। সে ক্ষেত্রে আপনাদের একত্রে থাকতে হবে। আমরা যদি একত্রে না থাকতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা বিপদগ্রস্ত হব।
পুরো বাংলাদেশ আজ এক। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিচ্ছি না। নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলগুলো উসকানি দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ। তার পরও তারা সমাবেশে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়।’
সোমবার বিকালে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের কাছে তাদের গোপন বৈঠকের তথ্য থাকায় চার নেতাকে আটক করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
Leave a Reply