(আজকের দিনকাল):আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সুদ, ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এ দুই খাতে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ আছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
এক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে ১১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য তুলে ধরেন।
বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছর ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৭৭ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। তুলনামূলক বরাদ্দ বেড়েছে ৬ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা।
এছাড়া সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। চলতি সংশোধিত বাজেটে এক্ষেত্রে বরাদ্দ আছে ৯০ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পরিচালন ও উন্নয়ন মিলে মোট বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ পরিশাধেই যাবে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ব্যয় হবে ১১ দশমিক ১ শতাংশ। আরও দেখা যায়, মোট সুদের মধ্যে বৈদেশিক ঋণের ওপর পরিশোধে যাবে ১২ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
এছাড়া ট্রেজারি বন্ডের ওপর সুদে ২৬ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। ফ্লোটিং রেট এর ঋণের ওপর সুদ পরিশোধে ৫ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের ওপর সুদে যাবে ৪২ হাজার কোটি টাকা। ভবিষ্যৎ তহবিলের ওপর সুদে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে মোট ভর্তুকির মধ্যে প্রাথমিক উৎপাদনে দেয় ভর্তুকি ২৪ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য ভর্তুকি ৫৯ হাজার ৮৮৬ কোাটি টাকা। ঋণ বা ঋণের সুদের ওপর ভর্তুকি ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে বাজেট প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয়ে সার ও অন্যান্য কৃষি কার্যক্রম খাতে প্রণোদনা বাবদ আগামী অর্থবছর প্রস্তাব করা হয়েছে ১৮ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বরাদ্দ কমছে ৬ হাজার ৭০১ কোটি টাকা।
Leave a Reply