(আজকের দিনকাল):চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর এলাকায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ ও এসব নৌযানের সঙ্গে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পাঁচটি টিম পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এসব বাল্কহেড জব্দ করে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ফরিদ হোসেন নামে এমভি ওয়াটার হেন-৫ এর সুকানি জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালুভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতিরাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে কিন্তু বালু বহনের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।
বাল্কহেড থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা কাজ করি শ্রমিক হিসেবে। বালু বহনের বৈধতার বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে চুক্তি হয়। ড্রেজারগুলো বন্ধ করে দিলে আমাদের বহনের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।
দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কহেডগুলোতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং কাগজপত্র দেখেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
এ সময় চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নৌপথ নিরাপদ রাখার জন্যই আমরা কাজ করি। আমাদের টহল বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু কেটে যাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে আসছিলাম। চলতি বছরের ৫ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এ বড় ধরনের অভিযান।
এর আগে মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মেঘনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৫২টি বালু জাহাজকে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। চাঁদপুর সদর এসিল্যান্ড মো. হেদায়েত উল্যাহর নেতৃত্বে পুলিশ এ অভিযান চালায়।
Leave a Reply