আজ ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাজেটে রাজস্ব আদায়সহ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে: ড. আতিউর রহমান

(আজকের দিনকাল):প্রস্তাবিত বাজেটকে আশাবাদী সংস্কারমূলক ও ভবিষ্যৎমুখী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাপতি ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এটি একটি আশার কথা। ভবিষ্যতে আমরা ক্যাশলেস সমাজে পরিণত হতে পারব। তবে রাজস্ব আদায়সহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছেন এই অর্থনীতিবিদ।

শনিবার উন্নয়ন সমন্বয়ের ‘বাজেট প্রতিক্রিয়া’ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বাংলামোটরে সংস্থাটির কার্যালয়ের খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আতিউর রহমান বিদেশ থেকে ভার্চুয়ালি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

উন্নয়ন সমন্বয়ের ইমেরিটাস ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংস্থাটির লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্রগুদা এবং সিনিয়র রিসার্স অ্যাসোসিয়েটস শাহনাজ হীরা।

ড. আতিউর রহমান বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জন হবে কি না, সেটি নিয়ে বিতর্কের সময় এটা নয়। বরং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি মনোযোগ দরকার। আগামী অর্থবছরে ৬ শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্য অর্জন চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে এমন প্রস্তাব অবাস্তব নয়। কেননা বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল হয়ে আসছে। বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা।

এটি জিডিপির অনুপাতে সহনীয়। এর বড় অংশ আসবে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাত থেকে। ফলে ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহে চাপ সৃষ্টি করবে। এক্ষেত্রে বাজেট ও মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় জরুরি। ভর্তুকি কমানোর চাপ থাকলেও চলতি বাজেটের চেয়ে বাড়িয়ে ভর্তুকি প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। এটি জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীলতার প্রতিফলন। প্রস্তাবিত করব্যবস্থায় ধনীদের সম্পদের করের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ না করলেও চলত।

তিনি আরও বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন অনেক নাগরিক। বিদেশ ভ্রমণে কর বৃদ্ধির হাত থেকে শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের রেহাই দেওয়া যেতে পারে। এ প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। এছাড়া আয় করযোগ্য নন-এমন ব্যক্তিদের জন্যও ন্যূনতম ২ হাজার টাকার করের প্রস্তাবটি রাজস্ব আয় এবং কর প্রদানের সংস্কৃতির প্রসারে সহায়ক হতে পারে। তবে এটা যেন সাধারণ মানুষের হয়রানির কারণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ