আজ ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জামের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন!

(আজকের দিনকাল):গরমকালে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় অনেক ফলমূল। তেমনি বাজারে পাওয়া যায় কালো জাম। কালো জাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিতেও ভরপুর।

তা ছাড়া নুন, লংকা দিয়ে জাম মেখে খাওয়ার আনন্দ তো বলার উপেক্ষা রাখে না ।

তবে জাম শুধু মুখের স্বাদই দেয় না, শরীরে আরও নানা উপকার লাগে। ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, রক্তচাপসহ একাধিক রোগভোগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে জাম খেলে। তাই সবার এ ফলের উপকারগুলো জেনে রাখা উচিত ।

আয়রন সমৃদ্ধ কালো জাম হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রক্ত শরীরের অঙ্গগুলোতে আরও অক্সিজেন বহন করে এবং শরীর সুস্থ রাখে। এ ছাড়া রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও জামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

চোখ ও ত্বকও ভালো রাখে এই ফল। হার্ট সুস্থ রাখে পটাশিয়ামে ভরপুর কালো জাম, যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো রোগব্যাধি প্রতিরোধ করে।

এর পাশাপাশি ধমনীও সুস্থ রাখে। মাড়ি ও দাঁত মজবুত করে কালো জাম মাড়ি ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জামগাছের পাতায় ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে। এটি মাড়ির রক্তপাত রোধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে টুথ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করলে উপকার মিলবে। এতে মাড়ির রক্তপাত এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সংক্রমণ প্রতিরোধ করে জামে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ এবং অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া গুণ রয়েছে। এ ছাড়া এই ফলে ম্যালিক অ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড ও বেটুলিক অ্যাসিড রয়েছে।

যে কারণে কালো জাম সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরি। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করে কালো জাম ডায়াবেটিসের বিভিন্ন লক্ষণ নিরাময় করতে পারে। এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। জামের বীজ, গাছের ছাল ও পাতা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ