(আজকের দিনকাল):লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় শাশুড়ি রাহেমা বেগমকে (৬৫) বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক চাচাতো ভাসুর জসিম উদ্দিনসহ গৃহবধূ তাহমিনা আক্তারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যা মামলায় গৃহবধূ তাহমিনা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাহমিনার পরকীয়া প্রেমিক জসিম আদালতে রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তাহমিনা রামগঞ্জ উপজেলার সাউদেরখিল গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে ও একই উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী। জসিম রাঘবপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
এজাহার সূত্র জানায়, তাহমিনার সঙ্গে তার চাচাতো ভাসুর জসিমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে তাহমিনা ও জসিম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ঘটনাটি তাহমিনার শাশুড়ি রাহেমা দেখে ফেলেন। এতে জসিম তাকে ধাক্কা দিয়ে খাটের ওপর ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তিনি চিৎকার করতে গেলে জসিম বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে। এ সময় তাহমিনা তার শাশুড়ির দুই পা চেপে ধরে রাখেন। এতে রাহেমা মারা গেলে জসিম ঘর থেকে বের হয়ে যান।
আশপাশের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে ঘরের সামনে এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরদিন রাহেমার স্বামী আবু তাহের বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে তাহমিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ঘটনার ছয় দিন পর ২৭ এপ্রিল হত্যাকারী জসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
Leave a Reply