(আজকের দিনকাল):চলতি মৌসুমে এস এন ট্রাভেলস থেকে ৫৩৮ হজযাত্রীর হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ৭৫ জনের ভিসা হয়েছে। ৯০ জনের টিকিট কনফার্ম হওয়ার পর গত বুধবার থেকে এজেন্সির মালিক শাহ আলম লাপাত্তা।
রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকার জুরাইনে অফিসে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোহাম্মদপুরে তার আরেকটি অফিস ছিল। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল বা অন্য কোনো মাধ্যমেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা।
তবে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মধ্যস্থতায় তাদের সৌদিতে পাঠানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে তাদের পাঠানোর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা প্রচেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এই হজ এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত সবাই হজে যেতে পারবে। এই এজেন্সির ভোক্তভোগীরা লিখিত ও ফোনে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। আমরা চেষ্টা করছি নিবন্ধিত হজযাত্রী সবাই যেন হজ পালন করতে পারে। এস এন ট্রাভেলসের সবাই হজে যেতে সব ধরনে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
এই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে হাব সবোর্চ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান, এই এজেন্সির নিবন্ধন ও লাইসেন্স এবং জামানত বাতিল করার পাশাপাশি ধর্ম মন্ত্রণালয় যেন এই এজেন্সি মালিককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসেন। সে যদি দেশের বাহিরে পালিয়ে যায় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে। হজের একটা বিশৃংখল পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি হাজীদের কষ্ট দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব হজ যাত্রীদের বিমান টিকেটের টাকা জমা ছিল। এছাড়া সৌদি আরবের হোটেল ভাড়া প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং করা ছিল। ভিসা ফি বা অন্যান্য খরচ যা প্রয়োজন হজযাত্রীদের কোন পরিশোধ বকেয়া থাকলে সেটা দিয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, এজেন্সিটির মূল মালিক পলাতক রয়েছেন। হজযাত্রীদের কাছ থেকে চার কোটি টাকা নিয়ে মালিকের পালিয়ে যাওয়ায় পর ভুক্তভোগীদের হজ পালন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা ও হাবের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। শেষ পর্যন্ত হাবের মধ্যস্থতায় তাদের হজে পাঠানো হচ্ছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এই হজ এজেন্সির মালিক দেশে বাহিরে পালিয়েছে। পাঁচ শতাধিক হজযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিলেও মাত্র কয়েকজনের ভিসা করে দিয়েছে এজেন্সিটি। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও মানি লন্ডারিংসহ বেশ কিছু মামলা দেওয়া উচিত। তবে ভুক্তোভোগী হজযাত্রীরা মামলা করতে ইচ্ছুক না। তাদের দাবি আমরা যেকোন ভাবে হজে যেতে চাই।
Leave a Reply