(আজকের দিনকাল):দেশের নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত কমেছে, বেড়েছে ঋণ। গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ এই তিন মাসে এ খাতে আমানত কমেছে ৫৩ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ বেড়েছে ৯২ কোটি টাকা। আমানতের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি আমানত যেমন কমছে, তেমনি কমছে সরকারি খাতের আমানতও। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত তুলে নিচ্ছে। এসব কারণে সার্বিকভাবে এ খাতে আমানত কমে যাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, বেশ কয়েক বছর আগে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা গ্রাহকদের আমানতের টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। একই সঙ্গে ঋণও আদায় করতে পারছে না। ফলে তাদের খেলাপি ঋণও বেড়ে গেছে। সার্বিকভাবে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে বেশির ভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানই সবল রয়েছে।
এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর আগে আমানত বেড়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। জালিয়াতির ঘটনার পর গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় আমানত প্রবাহ কমতে থাকে। গত বছর তা কমে ৪২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে নেমে এসেছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে তা আবার বেড়ে ৪৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে আমানত আবার কমতে থাকে। গত মার্চ পর্যন্ত আমানত কমে ৪৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বরে তা ছিল ৪৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আমানত কমেছে ৫৩ কোটি টাকা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি আমানত নিতে পারে না। তারা কেবল মেয়াদি আমানত নিতে পারে। গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মেয়াদি আমানত কমেছে ১২ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সরকারি বেসরকারি দুই খাতেই আমানত কমেছে। সরকারি আমানত ৪৯ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ৪৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক চিঠিতে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সরকারি খাতের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের স্থিতি ছিল ৭০ হাজার ৩২ কোটি টাকা। গত মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ২৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ৯২ হাজার কোটি টাকা।
Leave a Reply