(আজকের দিনকাল):দুদকের মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে চেয়ারম্যানকে। সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের নাম মিজানুর রহমান মোল্লা ওরফে সোনা মিয়া। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান।
বুধবার বিকালে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গত ১৫ জুন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করে; যা আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। ওই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা ইউপির ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই চেয়ারম্যানের সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউপিসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় তাকে তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, আমি বরখাস্তের কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। দুদকের একটি মামলা চলমান রয়েছে কিন্তু ওই মামলার রায় হয়নি। রায় দেওয়ার আগেই আমাকে বরখাস্ত করা হলে আমি আইনের দ্বারস্থ হব।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী ইউএনও মোশারেফ হোসাইন বলেন, সাময়িক বরখাস্তের একটি চিঠি তার বরাবর পাঠানো হয়েছে ২১ জুন, বুধবার তার হাতে পাবার কথা। অপর চিঠিতে তাকে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার চার্জশিট ২০২৩ সালে আদালতে দাখিল করা হয়। অতঃপর চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দিয়েছে।
Leave a Reply