আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাবের মধ্যস্থতায় হজে যাচ্ছেন এসএন ট্রাভেলস থেকে প্রতারণার শিকার সেই ৫৩৮ জন

(আজকের দিনকাল):চলতি মৌসুমে এসএন ট্রাভেলস থেকে ৫৩৮ হজযাত্রী প্রতারণার শিকার হন। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তাদের হজে যাওয়া। অবশেষে তিন ধাপে তাদের সৌদি পাঠানোর উদ্যোগ নেয় হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এর মধ্যে দুই ধাপের পর সর্বশেষ ধাপে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ৩ শতাধিক যাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদিতে যাচ্ছেন। বাকিরা পরবর্তী ধাপে যাবেন বলে হাব সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, এসএন ট্রাভেলসের অধীনে ৫৩৮ জন হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ৭৫ জনের ভিসা হয়েছে। ৯০ জনের টিকিট কনফার্ম হওয়ার পর এজেন্সির মালিক শাহ আলম লাপাত্তা। রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকার জুরাইনে অফিসে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোহাম্মদপুরে তার আরেকটি অফিস ছিল। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল বা অন্য কোনো মাধ্যমেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা। হজযাত্রীদের কাছ থেকে চার কোটি টাকা নিয়ে মূল মালিক দেশের বাহিরে পালিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা ও হাবের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। শেষ পর্যন্ত হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মধ্যস্থতায় তাদের সৌদিতে পাঠানো হচ্ছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এই হজ এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত সবাই হজে যেতে পারবেন। এই এজেন্সির ভুক্তভোগীরা লিখিত ও ফোনে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি নিবন্ধিত হজযাত্রী সবাই যেন হজ পালন করতে পারেন। এসএন ট্রাভেলসের সবার হজে যেতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, এই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে হাব সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। এজেন্সির নিবন্ধন ও লাইসেন্স এবং জামানত বাতিলের পাশাপাশি ধর্ম মন্ত্রণালয় যেন এ এজেন্সি মালিককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসেন।

হাব সভাপতি বলেন, এসব হজযাত্রীর বিমান টিকিটের টাকা জমা ছিল। এছাড়া সৌদি আরবের হোটেল ভাড়া প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং করা ছিল। ভিসা ফি বা অন্যান্য খরচ যা প্রয়োজন হজযাত্রীদের বকেয়া থাকলে সেটা দিয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে বলে জানান তিনি।

এর আগে হাবের মধ্যস্থতায় ৮২৩ জন হজযাত্রীকে সৌদি পাঠানো হয়: ৯ লাখ রিয়াল নিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কোবা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান এবং তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের অধীনে ৮২৩ হজযাত্রীর ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালিক আটক হওয়ায় ওই তিন হজ এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত ৮২৩ জনের হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে হাবের মধ্যস্থতায় তাদের সৌদিতে পাঠানো হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ