(আজকের দিনকাল):কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট পার হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। সোমবার সকাল থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন কোনো চাপ দেখা যায়নি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসার দূরপাল্লার কোনো বাস ঘাটে আসামাত্রই ফেরি পারের সুযোগ মিলছে।
ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সোমবার থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে যাত্রীবাহী বাস, কুরবানির পশুবাহী ট্রাক ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, এবারের ঈদযাত্রায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি এবং মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো সময় বেশি লাগছে। এ কারণে স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় বর্তমানে একই কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও সময় বেশি লাগছে। নদীতে পানি বাড়ায় পাটুরিয়া ও আরিচার সব ঘাটের পন্টুন নিম্নস্তর থেকে মধ্যমস্তরে ওঠানো হয়েছে।
দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে কুরবানির পশুবাহী গাড়ি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি পার হচ্ছে। ঢাকা ও আশপাশের এলাকার হাটে নেওয়া হচ্ছে এসব পশু। আবার হাটে পশুগুলো পৌঁছে দিয়ে খালি গাড়ি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।
প্রতি বছরের মতো এবারো পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট দিয়ে শুধু প্রাইভেটকারসহ ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি পার করার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় ৫০-৬০টি ছোট গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় লাইনে রয়েছে।
এদিকে পাটুরিয়া ও আরিচা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের তেমন চাপ এখনো শুরু হয়নি। ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে লোকাল বাসে যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন।
মঙ্গলবার থেকে ফেরি ঘাট দুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে জানান ফেরি কর্তৃপক্ষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২২টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ পারাপারে ১০টি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। যাত্রীর চাপ বাড়লেও নৌপথ পারাপারে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পারাপার হওয়া যানবাহনের চাপ প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। তবে কুরবানির পশুবাহী গাড়ির কিছুটা চাপ আছে। তবে ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরি পারের সুযোগ পাচ্ছে। এবারের ঈদযাত্রায় পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরি থাকায় যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Leave a Reply