আজ ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ওয়াগনার বিদ্রোহের পর প্রকাশ্যে এসে যে বার্তা দিলেন পুতিন

(আজকের দিনকাল):রাশিয়ায় ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের বিরোধিতা করায় নিরাপত্তা বাহিনী ও নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভাষণে তিনি এ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। খবর আল জাজিরার।

পুতিন বলেন, ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য আমি সব সেনা ও গোয়েন্দা পরিষেবা কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, রক্তপাত এড়াতে যখন যে নির্দেশনা দিয়েছি তারা সে নির্দেশনা মেনে কাজ করার চেষ্টা করেছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সোমবার রাতে পুতিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু, রাশিয়ার প্রধান অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা পরিষেবার প্রধান ও অন্যান্য শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ দেন।

ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অগ্রগতি বন্ধ করার জন্য ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য বেলারুশিয়ান রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে ধন্যবাদ জানান।

রক্তপাত এড়িয়ে যাওয়ায় ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার সদস্যদের ও ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজিনি প্রিগোজিনকেও ধন্যবাদ জানান পুতিন। তিনি বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনী চাইলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে বেলারুশে ফিরে যেতে পারে। পারে বা বেলারুশে চলে যেতে পারে।

তিনি বলেছেন, রাশিয়ায় বিশৃঙ্খলার বীজ বপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সব ভেস্তে দেয়া হয়েছে। তিনি রাশিয়ার শত্রুদের উদ্দেশে করেন বলেছেন, তারা ভুল গণনা করেছে।

তিনি বলেন, ওয়াগনার বাহিনী শুধু সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি, যারা তাদের সমর্থন দিয়েছিল তাদের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

এদিকে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহ অবসানের পর প্রথমবার জনসম্মুখে বের হয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। সোমবার ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াইরত রুশ সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

মূলত প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ ওয়াগনারের যোদ্ধাদের জন্য যুদ্ধের পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কয়েক মাস ধরে তাদের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রিগোজিন। গত শুক্রবার আকস্মিকভাবেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি।

বিদ্রোহের একদিন পরই বেলারুশের মধ্যস্থতায় নাটকীয়ভাবে ওয়াগনারের বিদ্রোহের অবসান ঘটে। এরপর ওয়াগনার সেনারা ঘাঁটিতে ফিরে যান। আকস্মিক এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর সোইগুকে দেখা গেলেও গেরাসিমভকে এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ