নুর আলম সিদ্দিক, (আজকের দিনকাল):প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ শপথ নিয়েছেন গাজীপুরসহ ৫ সিটির নবনির্বাচিত মেয়র। দুই ধাপের শপথ অনুষ্ঠানে প্রথমে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশাল সিটির মেয়র ও কাউন্সিলররা শপথ নেন।
শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মা জায়েদা খাতুনের পাশে বসা ছিলেন ছেলে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। যিনি এই সিটির সাবেক মেয়র।
সোমবার সকালে জায়েদা খাতুন, বরিশালের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও খুলনা সিটির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা।
পরে একই স্থানে তিন সিটির সাধারণ ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ১৭৭ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা শপথ নেন। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, শাপলা হলের এই অনুষ্ঠানে তিন সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা পাশাপাশি বসেন। গাজীপুরের মেয়রের ডান পাশে বসেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। শপথ নেওয়ার সময় জায়েদা খাতুন যখন দাঁড়ান তখন জাহাঙ্গীর আলম মাকে মাইকোফোন এগিয়ে দেন।
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে মেয়র হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। এই সিটিতে গত ২৫ মের নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু দল মনোনয়ন দেয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি তার মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার হন।
পরে সবাইকে অবাক করে ৬১ বছর বয়সি জায়েদা খাতুন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন। মূলত ছেলে জাহাঙ্গীরের কাঁধে ভড় করেই ভোটের লড়াইয়ে টিকে ছিলেন জায়েদা। তার নির্বাচনি কার্যক্রমে প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন ছেলে জাহাঙ্গীর।
তিনি জায়েদা খাতুনের পক্ষে দিবানিশি প্রচার চালান। বারবার হামলা মামলার শিকারও হন। ফলে ভোটের লড়াইয়ে কার্যত আজমত উল্লার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলমই।
শেষ পর্যন্ত সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান। তিনি ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছিলেন।
জয়ের পর জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন, মাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন। তবে শপথের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। আজ মাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান জাহাঙ্গীর
Leave a Reply