মোঃ রাশেদুল ইসলাম,(আজকের দিনকাল):নাটোরে পুলিশ সুপার অফিসের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার প্রত্যুশে (শনিবার রাত ২টায়) নাটোর জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা ও দায়রা আদালতের সামনে এ ঘটনায় ঘটে। আহত মো. রানা(২৮) শহরের দিঘাপতিয়া এলাকায় জনাব আলীর ছেলে।
ছিনতাইয়ের শিকার রায়হান রানার ছোটভাই মোহাম্মদ জন বলেন, শনিবার রাতে দয়ারামপুর খালার বাড়ি থেকে অটোরিক্সা করে বাড়ি ফিরছিলো রানা। এসময় রাত ২টার দিকে পুলিশ সুপার অফিসের সামনে আসতেই ৪-৫ জন ছিনতাইকারী অটোরিক্সা থামিয়ে রানার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় ধস্তাধস্তি হলে ছিনতাইকারীদের একজন হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে পেটের বাম পাশে গুরুতর ঘখম হয়ে ভূড়ি বের হয়ে যায়। এরপর মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। কিছু দূরেই পুলিশ ভ্যান দাড়িয়ে ছিলো অনেক চিৎকারেও তারা এগিয়ে আসেনি।
পরে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে ঘখম গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষনিক সেখান তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত রানা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবীর পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছে। কোন কথা বলতে পারছেনা।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ বলেন, ঘটনা তেমন কিছুই না। কোন কিছুই নেয়নি হামলাকারীরা। বিষয়টি ছিনতই নাকি অন্য কিছু সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, ছিনতাইকারীদের ধরতে জোরদার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শহরে ছিনতাইয়েই প্রবণতা কমিয়ে আনতে সকল ছিনতাইকারীদের অল্প সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে একই রাতে শহরের আলাইপুর এলাকায় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে অটোরিক্সা চালকের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের করার সময় উজ্জল কুমার সূত্রধর নামে এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসমাউল হোসেন বলেন, রাত দেড়টার দিকে টহল দেয়ার সময় আহত রানার বড়ভাই জন বলেন, ছিনতাইকারী উজ্জল রফিকুল ইসলামরে অটোরিক্সায় উঠে কানাইখালী থেকে স্টেশন বাজার যেতে চায়। পথে সরবারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অটোরিক্সায় বসেই পেটে ধারালো চাকু এবং পিস্তল (খেলনা) ঠেকিয়ে যা কিছু আছে বের করে দিতে বলে। এসময় হঠাৎ পুলিশ চলে আসায় ছিনতাইকারী হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওটা খেলনা পিস্তলটি ছিল।
Leave a Reply