আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ


‘বিজয় সুনিশ্চিত’, ভোট দিয়ে বললেন মোহাম্মদ এ আরাফাত

(আজকের দিনকাল):সোমবার বেলা ১১টায় গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে নৌকার প্রার্থী বলেন, জয়ের বিষয়ে আমি খুব আশাবাদী। মানুষ নৌকা ছাড়া ভোট দেবে না, তাই বিজয় সুনিশ্চিত।

এর আগে আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

আরাফাত বলেন, ভোট দিতে পেরেছি; ভালো লাগছে। ভোট তো সবসময় নৌকায় দিয়েছি, এবারও নৌকায় দিচ্ছি। প্রার্থী হয়েছি কি হইনি, সেটি বড় কথা নয়, নৌকায় ভোট দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা আমার।

তিনি বলেন, আমি সকালবেলা কয়েকটা কেন্দ্রে ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকালে একটু বৃষ্টি পড়েছে, বৃষ্টির কারণে ভোটার টার্ন আউট কম হয়েছে। গুলশান, বারিধারা, বনানীর ভোটাররা এমনিতে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, কিন্তু কালাচাঁদপুর শাহজাদপুর বা নদ্দার দিকে গেলে আপনারা দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। ভাসানটেকের দিকে গেলে দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। এখন কিন্তু ভোটের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ভালোই ভোটার আসছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন, কেমন ভোট পড়ছে তার জন্য ভোটকেন্দ্রে চোখ রাখতে হবে। তবে এখনই তার সঠিক ফিগার বলা যাবে না।

নৌকার প্রার্থী সাংবাদিকদের আরও বলেন, আরেকটা বিষয় খেয়াল করছেন কিনা, আমরা বলছি— ভোট দেন-ভোট দেন। আসলে আমরা বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন, মানুষ ভোট দিতে এলে ভোট নৌকায় পড়বে, আমাদের ডানে বামে শুধু নৌকার ভোট। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা।

এদিকে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে একতারা প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলম বলেছেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা জানি না। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমার সঙ্গে কয়েকজন এজেন্ট আছে, তাদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা একতরফা ভোট করার চেষ্টা করছে। তা না হলে কেন আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হবে? মহিলা এজেন্টরাও ছাড় পাননি, তাদেরও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।

ফল কী হবে সেটি বিষয় না, আমরা শেষ সময় পর্যন্ত দেখব। দেখতে চাই তারা আমাদের ওপর কত অত্যাচার করতে পারে। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানোর পর বলল, তারা দেখবে বিষয়টি। এভাবে চললে তাদের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয়, বলেন হিরো আলম।

Share

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ