রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নলডাঙ্গা পৌরসভার সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মেয়রের সমর্থকরা সন্ধ্যার পর নলডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মেয়র মনিরের অভিযোগ, হামলার সময় জেলা সৈনিক লীগের এক শীর্ষ নেতা পিস্তল বের করে পুলিশের সামনেই তাকে হুমকি দেন।
তিনি বলেন, আমার ভাতিজার ওপর হামলার ব্যাপারে আমি কেবল এমপির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমপি ও ওসির সামনে আমার ওপর উল্টো হামলা হলো। ওসি পক্ষপাতিত্ব করে চুপচাপ থাকলেন। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মেয়রের সমর্থকরা সন্ধ্যার পর নলডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র মনিরের ভাতিজা বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং গাড়ি বহরকে কোনো সাইড দিচ্ছিল না। পরে তৌহিদুর রহমান লিটনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর বঙ্গমাতা-বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে চলে যাই। ফেরার পথে মনির আমার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসছিল। তখন আমি এবং এহিয়া চৌধুরী তাকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেই। সে কারণে সেখানে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুর রহমান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, শিশির ও তার ক্যাডাররা সংসদ সদস্যের গাড়ি বহরের সামনে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। তাদের বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি হয়। কিন্তু আমার জানা ছিল না যে শিশির মেয়র মনিরের ভাতিজা। মেয়রের ভাতিজা জানার পরে আমি মনিরের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি। কিন্তু এরপরও মনির ও তার লোকজন পৌরসভার সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছিল এমপির বহরে হামলা করার জন্য। খবর শুনে নাটোর থেকে ডিবি পুলিশের টিম সেখানে যায়। পরে এমপি এবং আমরা ফেরার সময় মনির পথরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়। আমাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। কিন্তু অন্য কোনো অস্ত্র ছিল না।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ঘটনার সময় ডিবি পুলিশ এবং থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে কারও কাছে তিনি কোনো অস্ত্র দেখেননি।
Leave a Reply