(আজকের দিনকাল):চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে ১১ হাজার ৯৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা ঐ সময়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি। মূলত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৬৬৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চার মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং দেশি- বিদেশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৮ হাজার ১৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষি ও কৃষিসংশ্লিষ্ট কাজে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে। যেসব ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করবে না, তাদের জরিমানার ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রতি বছরই সাধারণ ঋণ বিতরণের পাশাপাশি বাড়ছে কৃষিঋণ বিতরণ। এর জন্য বছরের শুরুতে লক্ষ্যও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে বছরের বারো মাস বিশেষ করে ফসল চাষের শুরুতে কৃষকেরা সময়মতো ঋণ পান। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ১৪ বছরে আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার কোটিটাকার নিচে। ১৪ বছরে কৃষিঋণ বিতরণ তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে। কৃষিঋণ বিতরণে পরিমাণের পাশাপাশি মানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে সব ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করে, সে জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংকের পল্লি অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই, সেসব ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার বা এনজিও মাধ্যমে বিতরণ করে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এমআরএ) নিবন্ধিত ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুদ নির্ধারণেও এমআরএ নির্ধারিত সুদ হারের যাতে বেশি সুদ না নিতে পারে, সেই নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি কৃষকের ফেরত দেওয়া ঋণের হার সন্তোষজনক। আবার কৃষিঋণে খেলাপি কৃষকের হারও তুলনামূলক কম।
Leave a Reply