(আজকের দিনকাল):নোয়াখালীর কবিরহাটের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারের নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে ফজরের আজানের আগে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নৈশ প্রহরী শহীদ উল্যাহ (৫৫) উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ ভোরে পিকআপ ভ্যান নিয়ে ৩০-৩৫ জনের একটি ডাকাত দল চাপরাশিরহাট বাজারে ঢোকে। এ সময় বাজারের ৪ নৈশ প্রহরী ডাকাত দলকে বাধা দিতে যান। এ সময় তাদের মধ্যে একজন শহীদ উল্যার মাথায় আঘাত করে ডাকাতরা। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। অন্য ৩ নৈশ প্রহরীর মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে তাদেরকে বেঁধে রেখে ডাকাত দল বাজারে ‘মা-মনি জুয়েলার্স’ ও ‘নূর জুয়েলার্স’ নামে দুটি স্বর্ণের দোকানের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার, রূপা ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
মা-মনি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ বলেন, ‘আজ ভোররাতের দিকে ৩০-৩৫ জনের একদল ডাকাত পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট বাজারে ডাকাতি করে। এ সময় তারা ‘নূর জুয়েলার্স’ ও আমার প্রতিষ্ঠানের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। এ সময় মা-মনি জুয়েলার্সে লকার কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫০ ভরি রূপা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতরা আমার প্রতিষ্ঠানের স্বর্ণের লকার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে স্বর্ণালঙ্কার, রূপা ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’
মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নুর আলম বলেন, ‘ডাকাতরা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ, আড়াই শ’ ভরি রূপা লুট করে নিয়ে যায়।’
কবিরহাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডাকাত দল নৈশ প্রহরীকে মাথায় আঘাত করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’
Leave a Reply