(আজকের দিনকাল):দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা কিভাবে সহায়তা করতে পারবে সেই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে সার্বিক সহায়তা করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হোক সেটা নির্বাচন কমিশন চায়। এটা একটা প্রারম্ভিক আলোচনা। কিভাবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে, কোথায় কোথায় তারা কিভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাইবেন, সেভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমার সামান্যতম সন্দেহ নেই। একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন খুবই সিরিয়াস। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব; যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে।
লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, অতীতের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়েছে। এবারো রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে ইনশাআল্লাহ সেনা মোতায়েন হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবারো ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে।
সেনা সদস্যরা কিভাবে মোতায়েন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়নি। আমরা প্রারম্ভিক আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রপতি সেনা মোতায়েনে সম্মতি দিলে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। সেনা মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কতদিনের জন্য সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে? জানতে চাইলে লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য মোতায়েনের জন্য মোটামুটি আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আলোচনা শুনে মনে হয়েছে, উনারা (ইসি) চাচ্ছেন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চান। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সশস্ত্র বাহিনী থেকে যেভাবে সহায়তা চান, সেভাবেই দেওয়া হবে।
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা নামছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এত বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৩৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন ছিল। এবারের নির্বাচনে যদি বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে বেশিসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সেনা সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- অতীতে যেভাবে মোতায়েন হয়েছে, সেভাবেই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী হবে।
Leave a Reply