আজ ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওয়্যারলেস নিয়ে পালাল আসামি

(আজকের দিনকাল):গাজীপুরের কালীগঞ্জে আসামি ধরে থানায় ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে আসামি। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লেও পলাতক আসামিকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনায় চার পুলিশ আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ডেমরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- এজাহারভুক্ত আসামি ফাতেমা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে হাফসা বেগম (১৮)।

পালিয়ে যাওয়া আসামি আরিফ (৪০) মোক্তারপুরের ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ থানার মামলায় প্রধান আসামি।

হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসআই সাব্বির হায়দার শুভ। আহত অপর তিনজন হলেন- এসআই শামীম আল মামুন, এএসআই সুলতান মাহমুদ ও পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমান। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফকে মোক্তারপুরের ডেমরা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে যান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এ সময় পুলিশকে বাধা দেয় তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

একপর্যায়ে এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয় আসামি আরিফ। ওয়্যারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশর ওপর চড়াও হয়। এরপর থানায় খবর দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পুনরায় আরিফকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ।

এ সময় আসামি আরিফের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমান গুরুতর আহত হন। এছাড়াও হামলায় এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, এসআই শামীম আল মামুন এবং এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনার সময় আরিফ পালিয়ে গেলেও তার মা ফাতেমা বেগম ও বোন হাফসাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস কবির বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত দেড়টার দিকে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। এ সময় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এসআই সাব্বির হায়দার শুভ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি অসুস্থ আছি। ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পলাতক আসামিকে গ্রেফতার ও ওয়্যারলেস সেট উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ