(আজকের দিনকাল)’পড়ুয়ার আসর’ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সবাই মিলে বই পড়ার কার্যক্রম শুরু করেছিল; প্রতি দুই মাসে একটি বই পড়ার আসরের আয়োজন ছাড়াও পড়ুয়ার আসর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রথম বেগম রোকেয়া নিয়ে একটি বিশেষ পাঠসভার আয়োজন করেছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর রোববার পড়ুয়ার আসর আবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় বেগম রোকেয়াকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে। এটি ম্যাকুয়ারি লিংস গোলফ ক্লাবে আয়োজন করা হয়।
বিশেষ এই স্মরণসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল বেগম রোকেয়ার রচনাবলি থেকে পাঠ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের বর্ণনা।
নাসরিন মোফাজ্জল ও রোকেয়া আহমেদের সঞ্চালনায় এই বিশেষ পাঠপর্বে অংশগ্রহণ করেন আজিজা শাদাত, নুরুন্নাহার বিউটি, রুমানা ফেরদৌস লনী, রওশন পারভীন, কাশফি আসমা আলম, রানী নাহিদ, শামসুন্নাহার বিউটি, লায়লা লজি, সাকিনা আক্তার ও ইসরাত মুনির। সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন রুমানা ফেরদৌস লনী। এই পর্বের একটি বিশেষ পরিবেশনা ছিল কাশফি আসমা আলমের ধারাবর্ণনায় এবং নাসরিন মোফাজ্জল ও ইসরাত মুনিরের অংশগ্রহণে শ্রুতি নাটক। বেগম রোকেয়ার “সুলতানার স্বপ্ন” উপন্যাস অবলম্বনে সারা ও সুলতানার দ্বৈত সংলাপের মাধ্যমে এই শ্রুতি নাটকটি পরিবেশনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ছিল সিডনির বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক, লেখক ও সুধীজনদের অংশগ্রহণে বেগম রোকেয়াকে নিয়ে পর্যালোচনার একটি বিশেষ পর্ব। এই পর্বের প্রধান বক্তা ও আলোচক ছিলেন অজয় দাশগুপ্ত, তিনি অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় নারী জাগরণ ও নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার অবদান তুলে ধরেন এবং তার সাহিত্যকর্মের পর্যালোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শাফিন রাশেদ, গামা আবদুল কাদির, ড. কাজী আলী, ড. খাইরুল চৌধুরী, আব্দুল জলিল, আনীলা পারভিন, শাখাওয়াত নয়ন, নোমান শামীম, মোহাম্মদ শফিকুল আলম, ফারিয়া নাজিম, শোয়েব মো. কামাল, কানিজ আহমেদ, এহসান আহমেদ। এ ছাড়া “বিভাবরী” জামদানি শাড়ি বুটিকের স্বত্বাধিকারী সামিনা মাশা ও আভানী রিয়াল এস্টেটের পক্ষ থেকে মুনীর সিরাজুম ও ইসরাত মুনীর তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। পুরো অনুষ্ঠানের শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মেহেদী হাসান ও মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন শামীম হাসান।
Leave a Reply