আজ ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যে শর্তে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন আমান

(আজকের দিনকাল):বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আপিল বিভাগ। 

সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। তবে ১ মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৯ জুনের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ফিরতে হবে তাকে। দেশে এসে আপিল বিভাগকে জানাবে যে তিনি ফিরেছেন।

এর আগে গত ২৮ মার্চ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমান। ওই দিনই হঠাৎ বুকের ব্যথা হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমানউল্লাহ আমানকে। সেখানে চিকিৎসা শেষে পরের দিন তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি।

গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। তবে, বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়।

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।

গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।

পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ