আজ ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এমপি শাহরিয়ারকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

(আজকের দিনকাল):আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ এবং রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে বক্তারা শাহরিয়ার আলমকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, ‘বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল আওয়ামী লীগের পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তার। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাশাপাশি শাহরিয়ার আলমের দ্রুত বহিষ্কার চাই।’

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় নেতা শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে রাজশাহীর উন্নয়ন করছেন। তা দেখে ঈর্শান্বিত শাহরিয়ার আলম তার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। দলের একটি উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার আলম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া অবশ্যই উচিত।’

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে গত ২২ জুন গুরুতর আহত হন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। ২৬ জুন তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার বাবুলের জানাজায় এমপি শাহরিয়ার আলম দাবি করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এ হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ