গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-চৌগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল আলী মন্ডল, একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ গোপাল চন্দ্র সরকার (২২), চৌগ্রামের শিপন আলীর ছেলে রাকিব আলী (২২), মৃত মুকুল হোসেনের ছেলে আব্দুল মমিন (২২), ডাহিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২) ও ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বুদ্দু মোল্লা (৩৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৯টার পরে বুদ্দু মোল্লা তার তৃতীয় স্ত্রী ভুক্তভোগী গৃহবধূকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।
পরে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় এবং গ্রাম পুলিশ গোপাল চন্দ্র সরকার ও অপর যুবক রুহুলের পাহারায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাকিব আলী নামে এক যুবক। পরে সেখান থেকে ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মাহিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে রাতভর গণধর্ষণ করে যুবদল নেতা নাজমুল আলী মন্ডল, সাদ্দাম মন্ডল ও আব্দুল মমিন।এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী গৃহবধূ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সিংড়া থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকবর আলী বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী তাকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে আসে।
পরে স্বামীর সহযোগিতায় অন্যান্য আসামিরা গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় জড়িত আরও দুইজন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তাদের (আসামিদের) সম্পর্ক ছিল আগে থেকে, ঘটনায় মহিলা ও তার স্বামীরও যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে হয়েছে। মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply