(আজকের দিনকাল):সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার দখল নিতে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় আউকপাড়া এলাকায় এই হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ও মারধরের বিষয় উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ঝুট ব্যবসায়ী মো. আ. হাকিম (৪৭)।
হাকিম আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। প্রতিপক্ষের হামলায় তার ছেলে সালমান দেওয়ান নিরব (১৭) গুরুতর আহত হয়েছে। অন্যদিকে হামলাকারীদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম আমিন (৩৮), আলম মিয়া (৪০), মো. বাবুলসহ (২৭) অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে হাকিম উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকার সিনথিয়া অ্যাপারেলস কারখানায় ঝুট ব্যবসা করছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় আউকপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলাম আমিন, মো. আলম মিয়া, মো. মহসিন, মো. বাবুল, মো. মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জন ব্যক্তি পূর্বশত্রুতার জেরে ঝুট ব্যবসা দখলের উদ্দেশ্যে সিনথিয়া অ্যাপারেলস কারখানার সামনে আসেন। এ সময় কারখানায় আমার একটি ঝুটের ট্রাক লোড হচ্ছিল। আমি সেখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে আমার গতিরোধ করে রড, চাপাতি, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন তারা। আমার চিৎকার শুনে সালমান এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন তারা।
মারধরের খবর পেয়ে স্থানীয় মোশারফ হোসেন, ইকবাল, আরব মাহমুদরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে তাদেরও মারধর করে হামলাকারীরা।
হাকিম বলেন, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর, মানুষের টাকা ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনথিয়া অ্যাপারেলস কারখানার একজন কর্মকর্তা বলেন, আমিনুল, আলম, বাবুল ও তার সহযোগীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাদের কারণে আমাদের কারখানার শ্রমিকরা বেতন হলে ঘরে টাকা নিয়ে ফিরতে পারেন না।
তারা রাস্তায় শ্রমিকদের আটকে মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে অভিযোগ দিয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।-ডেস্ক
Leave a Reply