(আজকের দিনকাল):দুই বন্ধু ইয়াসিন ও রাকিব। পেশায় অটোরিকশাচালক রাকিবের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বন্ধু ইয়াসিনের স্ত্রীর সঙ্গে। এ নিয়ে একাধিকবার বাগবিতণ্ডা হয় তাদের মাঝে। এর জের ধরে রাকিবকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে ইয়াসিন। হত্যায় সহযোগিতা করে ইয়াসিনের মামাতো ভাই আব্দুর রহমান।
ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার নবাবগঞ্জে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নবাবগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ঢাকার দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম।
ইয়াসিনকে ধরার পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার চালক রাকিব উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মোক্তার হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন উপজেলার আগলা ইউনিয়নের ইয়াসিন ও কৈলাইল ইউনিয়নের আশরাফুল।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ইয়াসিন। এদিন তারা আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর ভাই রবিউল হোসেন।
বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে রাকিবের সঙ্গে থাকা ইয়াসিনকে আটক করার পর মেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পরে শুক্রবার রাতে সন্ধান চালিয়ে আগলা পূর্বপাড়ার একটি নির্জন চক থেকে রাকিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন পুলিশকে জানান, হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আগলা পূর্বপাড়া চকের নির্জন মাছের খামারের পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় করা মামলার বাদী রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন বলেন, তার ভাই অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হতো। তারা ভাইকে হত্যা করল কেন? তিনি জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা, তা জানতে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ। তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।-ডেস্ক
Leave a Reply