বর্তমান সরকার জনদুর্ভোগ লাগবে এই খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মান করেছেন দেড় বছর হলো। কিন্তু ব্রিজের দুপাশে নেই কোন সংযোগ সড়ক (এপ্রোচ রোড)।
আর এতেই ভোগান্তিতে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় দুই হাজার লোক। সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। যদিও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন দুই গ্রামের জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে খুব শিগ্রই সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আক্তারুল আলম জানান,আমাদের মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়িই বিদ্যারভিটা গ্রামে। কিন্তু এ গ্রামটিতে এখনও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি। এ গ্রাম থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিভিন্ন ফসলের মাঠের আইল(রাস্তা) ধরে প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। ব্রিজের আগে এই খালে বাশের সাঁকোর ব্যবহার ছিল। এখন ব্রিজ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল ভোগ করতে পারছে না এলাকাবাসী।
মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ময়না আক্তারের মতে, একটি সড়কের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানে আসি। তবে বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য।
সাইটালিয়া বিদ্যারভিটা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমাদের এলাকার অধিকাংশ লোকজনই সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছে, বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ রোগি ও বিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় মমতাজ উদ্দিন মাষ্টার জানান, জনদুর্ভোগ লাগবে এখানে একটি ব্রিজ হলেও অপূর্ণ থেকে গেল সংযোগ সড়কটি। ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও সংযোগ সড়কটির অভাবে দুর্ভোগের প্রহর যেন বাড়ছে।
তালতলী পূর্বপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ কসিম উদ্দিন জানান,এখানে আমরা এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বিবেচনায় স্থানীয়দের সহায়তায় একসময় একটি সাঁকো নির্মাণ করেছিলাম। এখন সরকারই আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে ব্রিজ তৈরী করে দিয়েছেন। তবে পুরোপুরি দুর্ভোগ লাগবে অতি দ্রুত সংযোগ সড়কটি নির্মাণের দাবী তাঁর। তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান,এলাকাবাসীদের দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় তার সুফল ভোগ করতে পারছে না এলাকার লোকজন। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে, ধান কাটা শেষ হলে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম জানান, এলাকার লোকজনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে এই খালের উপর প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যায় করে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিগ্রই দুর্ভোগ লাগবের আশা করা যায়।
Leave a Reply