তুরাগ পরিবহনে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সহপাঠীরা। আজ শনিবার রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হওয়া চালক, বাসের ভাড়া আদায়কারী ও চালকের সহকারীর দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করাসহ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন কঠোর হবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
পারভেজ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো, পরিবহনের চালক, ভাড়া আদায়কারী ও চালকের সহকারীর পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পরিবহনের কর্মী হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া ও পরিবহন সমিতির সঙ্গে যেন যুক্ত হওয়ার সুযোগ না দেওয়া। এ ছাড়া আইনজীবীরা যেন গ্রেপ্তার হওয়া ওই তিনজনকে আইনি সহায়তা না দেন, সে আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধনে।
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তুরাগ পরিবহনের গাড়িচালক ও তাঁর সহকারী তাঁকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে কৌশলে তিনি তাঁদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় ওই ছাত্রীর স্বামী ২২ এপ্রিল বিকেলে বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানোর পরই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামেন। তাঁরা যাত্রাবাড়ী থেকে আবদুল্লাহপুরগামী তুরাগ পরিবহনের বাসগুলো উত্তরায় পৌঁছালেই সেগুলো থামিয়ে দেন। বাসের যাত্রীদের অন্য বাসে তুলে দিয়ে চালককে তাঁদের ক্যাম্পাসের কাছে বাস চালিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন এবং বাসের চাবি কেড়ে নেন। তুরাগ পরিবহনের ৩৫টি বাস আটকে রেখে প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ২৩ এপ্রিল ওই বাসের চালক রোমান, বাসের ভাড়া আদায়কারী মনির ও বাসচালকের সহকারী নয়নকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই বাসগুলো পুলিশকে বুঝিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply